Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

বিবাহিত জীবন কেমন? @Life Blog

বিবাহিত জীবন কেমন?

 


বিয়ে প্রাথমিকভাবে সেক্স করার একটি সামাজিক স্বীকৃতি। সন্তান জন্ম দেয়া ও তাদের লালন পালন করা পরের ইস্যু কিন্তু প্রাথমিক ভাবে বিয়ে মানে একটি নারী ও পুরুষের মাঝে অবাধ সেক্স করা। এরপরে গিয়ে বাকি বিষয়গুলো আসে কিন্তু বিয়ে কি শুধুই সেক্স?

না, বিয়ে শুধু সেক্স না। 
সেক্স একেবারে প্রাথমিক কাজ কিন্তু এর পরেই বুঝতে পারবেন বিয়ে কাকে বলে।

পর্ন ফিল্ম বা বিভিন্ন ছবিতে নায়ক নায়িকার রোমান্স দেখে আপনার লিংগ দাঁড়িয়ে গেলেই, 
মনে হতে পারে এখনই বিয়ে করে সারাক্ষন এসব করি দুজনে কিন্তু না। 
বিয়ে শুধু এসব করার জন্য না।

বিশেষ করে পুরুষের জন্য বিয়ে মানে বিরাট এক দায়িত্ব। নারীর জন্যেও বিয়েটা বড় দায়িত্ব কিন্তু পুরুষের জন্য সেটা মহা দায়িত্ব। আমাদের এই পুরুষ শাসিত সমাজে পুরুষকেই নারীর দায়িত্ব নিতে হয়।

নারীর প্রধান দায়িত্ব থাকে সংসার গুছিয়ে রাখা। যদিও অনেক কর্মজীবী নারী আছেন তাদের কাছে কর্মক্ষেত্রও অনেক গুরুত্ব বহন করে যদি তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি হয়ে থাকেন তবে এই উপার্জনের দায়িত্বটা এই সমাজে পুরুষের উপরেই প্রধানত পড়ে।

নারীর জন্য বিয়ের পরে মূল দায়িত্ব হয়ে পড়ে সংসার দেখে রাখা। রান্না বান্না করা, বাচ্চাকে স্কুলে আনা নেয়া করা, বাচ্চার পড়া বুঝিয়ে দেয়া, বুয়াকে অর্ডার দেয়া এটা করো, ওটা করো ও মাঝে মাঝে পাশের বাসার ভাবী বা আপার সাথে সুখ দুঃখের কথা, কোন সিরিয়ালে কি হয়েছিলো এসব নিয়ে গল্প করা ইত্যাদি। ভালোই কেটে যায় এ ধরনের নারীর বিবাহিত জীবন।

বিবাহিত জীবন কেমন?  @Life Blog

আর পুরুষ নামের গো বেচারা, বিয়েটা করেছে কলুর বলদের মতো খাটতে আজীবন। পুরুষ যদি সংসারে একটু বেকে বসে বা একটু কম টাকা দেয় তবেই সংসার চলে না ঠিক মতো।

কোথায় বিয়ে করলো পুরুষ রাতে একটু বউটাকে আদর সহবাস করবে কিন্তু সেই স্বপ্ন তখন জানালা দিয়ে পালায় যখন সংসারে দেখা দেয় অভাব অনটন।

পুরুষ তখন ভোরে ঘুম থেকে উঠেই শার্ট প্যান্ট পড়ে অফিসে যাওয়ার জন্য বাস ধরে। একটু দেরি হলেই অফিসে লেট। না গেলে বেতন কাটা। তাই যে করেই হোক ঠিক টাইমে যেতেই হবে। বাসে ঝুলে ঝুলে গরমে ঘামে গোসল করে হলেও অফিসে যেতেই হবে। আরামের সময় নাই।

বিবাহিত জীবন কেমন?  @Life Blog

সেই সাথে দ্রব্যমূল্য বাড়লে তো পুরুষের অবস্থা হয় আরো শোচনীয়। বউ, বাচ্চাকে ঠিকমতো খাওয়াতে পারবে তো? বাচ্চাটা একটা সাইকেল চাইছিলো। কিনে দিতে পারবে তো এই মাসে? সাইকেল বাদ দেন, বাচ্চাটার জন্য কি বাটা জুতাটা কেনা যাবে এই বাজারে? নিশ্চিত না কিছু।

টেনশনে পুরুষ গো বেচারার চুল পেকে সাদা হয়ে বয়সের আগেই বুড়া হয়ে যাচ্ছে। ওদিকে বউ সিরিয়ালে কোন নায়িকা কোন জামাটা পড়েছে সেটা নিয়ে ভাবীর সাথে আলোচনায় ব্যস্ত বা পপি কিচেনের রেসিপিটা আজকে ট্রাই করার কথা ভাবছে। রেসিপি ভালো হলে ভাবীকে ডেকে এনে খাওয়াবে।

একটা পুরুষের জন্য বিয়েটা অনেক বড় একটা বোঝাও বটে। তাই পুরুষ উপার্জনক্ষম না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করতে সাহস পায় না। ততদিন বাথরুমে হাত মেরে মেরে শরীরে শান্তি পেতে চায় কিন্তু নারীর জন্য বিয়েটা করলেই বরং বাবার থেকে গিয়ে স্বামীর ঘাড়ে গিয়ে পড়বে। তার খুব বেশি চিন্তা নেই। স্বামী একটু কেয়ারিং হলেই তার চলবে।

বিবাহিত জীবন তাই নারী ও পুরুষের কাছে দুই ধরনের যেখানে পুরুষকেই বেশি দায়িত্ব নিতে হয়।


মানুষের জীবনে বন্ধুর প্রয়োজন কতটা?

গন্তব্যে পৌঁছতে যেমন গাড়ির প্রয়োজন, জীবন গড়তে ও সহচর, মাধ্যম প্রয়োজন। 
হতে পারে কিতাব বা মানুষ।

আর সাহায্যের জন্য একজন জীবন্ত সত্তার প্রয়োজন যে কিনা আপনার সম্পর্কে জানে এবং আপনাকে ভালোবাসে,আপনার প্রতি দায়িত্ব রাখে।

যার দায়িত্ব বোধ নাই, সে কখনো বন্ধু হতে পারে না, আর আপনি তাকে রাত ২/৩ টায় ফোন করলেও রাগ ঝাড়বে না,আপনার সমস্যার মুক্ত শ্রোতা হবে, আপনার খালি পকেটে তার কাছে সাহায্য আসবে, আপনার অসুস্থতায় সে দোয়া করবে,ওষুধ এনে দিবে,আপনার পিতামাতার জানাজায় সবার আগে দৌড়ে আসবে, আপনার সন্তান হলে যে মিষ্টি নিয়ে হাসপাতালে দেখতে যাবে। …..

তবে এই ছবি টা যদি সাধারণ ভাবে দেখি তাহলে এই টাইপ আর কি… যদি ও আগুনের কাছে ঘী থাকলে জ্বলবেই, তাই মেয়ে ছেলে বন্ধু হতে পারে না, তাদের মধ্যে শয়তান ওসওয়াসা দিয়ে যিনায় লিপ্ত করে।

"একজন স্ত্রীর চাহিদা তখনই বেড়ে যায় যখন স্বামীর সাথে তার দুরত্ব বেড়ে যায়।

তখন সে গহনা, শাড়ি, দামী জিনিস এসবের প্রতি ভালোলাগা খুঁজে পায়।

-"স্ত্রী হলো মাটির মত আর ভালোবাসা হলো জল,

আপনি দুটোকে একসাথে মিশিয়ে ইচ্ছে মত আকৃতি দিতে পারবেন।

-"আপনার স্ত্রী কখনোই আপনার কাছে লক্ষ্য টাকা দামের জিনিস চাইবেনা, যদি আপনি মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তার পাশে ৩০ টাকা দামের ফুচকা খান।

-"আপনার স্ত্রী কখনোই আপনাকে বলবেনা, আমাকে দামী গাড়ী কিনে দাও, যদি আপনি মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে হুট খোলা রিকশায় এই শহরটা একটু ঘুরে বেড়ান।

-"পুরো সংসারের কাজ করার পরেও আপনার স্ত্রী বলবেনা আমার কষ্ট হচ্ছে,

যদি আপনি আপনার স্ত্রীর কে ভালোবেসে কপালে একটা চুমু খান, তাঁর কাজে একটু হাত বাড়ান এবং বলেন সারাদিন অনেক করেছো।

-"ভালোবাসা তো শুধু দামী জিনিসের মধ্যেই লুকিয়ে থাকেনা,

-"মাঝে মধ্যে ভালবাসা ১৫ টাকা দামের গোলাপ আর রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া ৩০ টাকা দামের কাচের চুড়ির মধ্যেও লুকিয়ে থাকে,

-" কেয়ার থাকলে সংসার যুদ্ধ ক্ষেত্র না হয়ে, হবে জান্নাতের একটি টুকরা.....

তাই নিজের স্ত্রীকে উত্তম ভালবাসাটা দিন.....।



বিবাহিত মহিলাদের জন্য আয়োজিত এক সেমিনারে এক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলোঃ

আপনি শেষ বার কবে আপনার স্বামীকে "আই লাভ ইউ" বলেছেন?

কেউ বললো, “আজই বলেছি!”

কেউবা জবাব দিল, “দুদিন আগে!”

আবার কেউ কেউ বললো, “দশ দিন আগে বলেছিলাম।”

এরপর সব মহিলাদের বলা হলো, আপনাদের নিজ নিজ মোবাইল থেকে যে যার স্বামীকে "আই লাভ ইউ" টেক্সট করতে পারবে আর সবচেয়ে ভালো উত্তর যার মোবাইলে আসবে তার জন্য একটা সারপ্রাইজ গিফট থাকবে।

সেখানে থাকা সব মহিলা তাদের স্বামীদের মেসেজ পাঠালো। এবং কিছুক্ষণ পার হতেই স্বামীদের জবাব আসা শুরু হল।

সেগুলো কিছুটা এরকম ছিলঃ

তোমার শরীর ভাল তো?


হাত খরচের টাকা শেষ?


তুমি বাপের বাড়ি চললে নাকি?


মনে হচ্ছে আজ বাসায় রান্না হবে না, তাই না?


মানে কি?


তুমি স্বপ্ন দেখছ না আমি?


কিটি পার্টিতে কোন গয়না পছন্দ হয়েছে নাকি?


অফিসে এত টেনশনের মধ্যে তুমি রোমান্সের আর সময় পেলে না?


কতবার না বলেছি এত সিরিয়াল দেখ না!


আজ আবার কোনো গাড়িতে ধাক্কা মেরেছো নাকি?

তবে শেষপর্যন্ত যে উত্তর সারপ্রাইজ গিফট জিতল তা বড় ভয়ানক ছিলোঃ

"I love you too but who are you?"


র‍্যাগিং ভালো না খারাপ?


আজকে একেবারে নিজের গল্প বলবো। অন্যের মুখে শোনা ঘটনা নয়। একেবারে নিজের জীবনের কাহিনী। তার আগে, Ragging জিনিসটার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।

Ragging হলো - কোন মানুষকে মানসিক অত্যাচার করে মজা করা। সাধারণত সেনাবাহিনী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন Ragging হয়। সিনিয়ররা নবাগতদের Ragging করে। এভাবে কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে থাকে না। এই Ragging এর মাধ্যমে, সিনিয়ররা নবাগতদের উপরে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। কিছুদিন পরে Ragging এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়।

এই Ragging জিনিসটা সবচেয়ে বেশি হয় ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কিছু ক্ষেত্রে সেই মানসিক অত্যাচার, শারীরিক অত্যাচার হয়ে যায়। দুই-একটি ঘটনাতে বিষয়টা আত্মহত্যা পর্যন্ত গড়িয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান Ragging বন্ধ করার চেষ্টা করে। তবুও পুরোপুরি বন্ধ হয় না। যদিও, ভারতে এখন Ragging জিনিসটা খুবই কমে গেছে।

Ragging বিষয়ে আমার অভিমত হলো - খুবই সীমিত পরিসরে Ragging জিনিসটা হলে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু, কোনভাবেই অতিরিক্ত অথবা বিপজ্জনক Ragging করা যাবে না।

এবার আমার কাহিনী:

আমি একজন বাংলাদেশী, তবে ভারতে Bachelor Degree করেছি। ভারতের Ragging এর ঘটনা বলবো। আমাদের সময়, ভারত ও বাংলাদেশের ছাত্ররা, একে অন্যকে Ragging করতো না। শুধুমাত্র নিজের জাতির ছাত্রদের Ragging করতো।

ছবিটা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা

প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চলল, Ragging এর ভয়ে এখনো ক্লাসে উপস্থিত হতেই পারি না, কি করা যায়। তখন রুমমেট বড় ভাই, বুদ্ধি করে একজন তারকা Ragger কে ফোন দিয়ে, আমার ব্যাপারে বললেন - তুমি নিজে এসে ওকে নিয়ে যাও, আমি একা ছাড়তে ভরসা পাই না। অগত্যা, অনুরোধ না ফেলতে পেরে, তাকে আসতে হল। আমাদের বাসায় জোর করে তাকে একদিন রাখা হল।

সেদিন তার সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। এর মধ্যে তাকে একটি প্রশ্ন করেছিলাম - আচ্ছা, আপনি যে এত Ragging করেন। এদের মধ্যে এমন অনেকেই থাকতে পারে যারা ক্ষমতাবান। আপনার ভয় করে না? এরা যদি পরে আপনার উপরে পরে কোন প্রতিশোধ নেয়। তিনি হেসে বলেছিলেন - আমার উপরে পরবর্তীতে তাদের কোন রাগ থাকবে না। আমি মনে মনে বললাম - তোমাকে বলেছে, তুমি বেশী জানো। যাই হোক, পরের দিন আমি তার সঙ্গে রওনা দিলাম। আমার অবস্থাটা হল এমন - একটি বাঘের সঙ্গে জঙ্গলে যাচ্ছি, যেখানে আরো বাঘ আছে।

তার বাসায় যাওয়ার পরে, তার আরেক রূপ। প্রথমে চার পাঁচজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। ওরা বলল, Ragging ভয় পায়, ওকে তো ভয়টা ভাঙ্গিয়ে দিতে হয়। এসো শুরু করি। ওদের সাথে Ragging করতে তিনি নিজেও যোগ দিলেন। এর পরে আমাকে আশেপাশে আরো চার পাচটি বাসায় নিয়ে গেলেন। সবখানেই, ঐ Ragging। এই লোকটি কি আমাকে Ragging থেকে রক্ষা করতে নিয়ে এসেছে, নাকি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে Ragging করাতে নিয়ে এসেছে, সেটাই বুঝতে পারলাম না। এমনই এক Ragging এর মাঝে, একজন ভিলেন বড় ভাই জিজ্ঞেস করলেন - আমাদের স্পেশাল স্যালুট চিন? আমার সাবলিল উত্তর - না, সেটা কেমন? ভিলেন বড়ভাই তো রেগেই অস্থির। কি, স্পেশাল স্যালুট চিন না। এই যে এইভাবে...... ।

নাচো, গাও, অভিনয় কর, মেঝেতে সাতার কাটো, ছয় ইঞ্চি স্কেল দিয়ে পুরো ঘর মাপো, নায়িকার পোস্টারে চুমু দাও...,...... এসব না হয় মেনে নিলাম। কিন্তু এটা আবার কেমন স্যালুট। এত অশ্লীল। ছি ছি এরা এতো খারাপ।

এত খারাপ ছেলেদের ভেতরে, একজন ভালো ছেলেকেও পেয়েছিলাম। সবাই যখন Ragging করছে, তিনি তখন পাশের রুমে ভদ্রলোকের মতন বসে রয়েছেন। তিনি দেখতেও ফর্সা ও সুদর্শন। আর ঐ স্যালুট দেওয়ানো ভাই, প্রায় আমার মতনই কালো। ভিলেন তো এমনই হয়।

Ragging দেওয়া নেওয়া করা ছাত্ররা হোস্টেলে কিংবা বাসায় একসাথে থাকে, একই সাবজেক্ট লেখাপড়া করে। কয়েক বছরে তাদের ভেতরে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। তাই, কেউ কারো প্রতি রাগ ধরে রাখতে পারে না। তবে, আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা তেমন হয়নি। আমি ওদের কারো সাথে থাকি নি। ওদের সাথে হয়তো মাসে দুই-একবার দেখা হয়ে যেতো। কারো সাথে তেমন বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি।

তাই, "পরে কোন রাগ থাকে না" এই কথাটা আমার জন্য প্রযোজ্য নয়। ঐ ভিলেন ভাই আর ভদ্র ভাই, দুইজনকেই আমি ভালোভাবে মনে করে রেখেছিলাম। যদি কখনো সুযোগ আসে, প্রত্যেককেই তাদের কৃতকর্মের প্রতিদান দিব, এমন মনঃস্থির করেছিলাম। আল্লাহ আমাকে সেই সুযোগও দিয়েছেন।

বেশ কয়েক বছর পরে, লেখাপড়া শেষে দেশে ফিরে গেছি। একদিন হটাত, একবার আমার মোবাইলে ফোন এলো - "হ্যালো, আমি অমুক...... খুলনায় এসেছি। তোমার কথা মনে পড়ল। তুমি কি অমুক যায়গায় আমার সাথে দেখা করতে পারবে?" উনি হলেন, আমাদের ভিলেন ভাই। কোথা থেকে কিভাবে তিনি আমার ফোন নম্বর পেয়েছেন তা কে জানে। আমি তাড়াতাড়ি ছুটে গেলাম। দেখা হলে, দুজন দুজনকে এমনভাবে জড়িয়ে ধরলাম, যেন হারানো বন্ধুকে অনেক কস্টে ফেরত পেয়েছি। আশেপাশের এক জেলা শহরে তার বাড়ী। উনি একটি বিশেষ কাজে খুলনায় এসেছিলেন, এখনই চলে যাবেন। আমি তো তাকে প্রায় এক প্রকারের জোর করে বাসায় নিয়ে গিয়েছি। উনি আমার কথা রেখেছেন, আমাদের বাসায় একদিন ছিলেন। পরের দিন শুরু হল তার পালা। এবার আমাকে তার বাড়িতে ধরে নিয়ে যাবেন। আমি বললাম - ভাই আপনি তো খুলনায় এসেছিলেন, তাই আপনাকে বাসায় নিয়ে এসেছি। আমি যখন আপনাদের শহরে যাব, তখন আপানার বাসায় যাব। কিন্তু উনি নাছোড়বান্দা। শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে তাদের শহরে গিয়েও একদিন থেকে এসেছি। তার কথা তো বাদই দিলাম, তার পরিবারের অন্য সবার আন্তরিকতা ভোলা যায় না।

ওদিকে, সুদর্শন ভদ্র ভাইয়ের সঙ্গেও একবার খুলনাতে এক অফিসে হটাত দেখা হয়ে গিয়েছিল। তিনি অনেক দুরের একটি জেলা থেকে এসেছেন। একই ঘটনা, কাজ শেষ, এখনই ফিরে যাবেন। আমি তাকে বললাম, এখন এত দুরে গিয়ে কি করবেন...... এর চেয়ে আমার সঙ্গে বাসায় চলুন, কালকে ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে রওনা দিয়েন। উনিও বেশ ভদ্রতা করে, বিভিন্ন অজুহাতে রাজী হলেন না। তাকে জড়িয়ে ধরতেও পারিনি, জোর করে বাসায় নিয়েও যেতে পারিনি।

সীমিত Ragging খুবই কার্যকর। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

দ্রষ্টব্য: ওই ভাইটি আমাকে বিভিন্ন বাসায় নিয়ে গিয়ে, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কেন Ragging করিয়েছিলেন, সেটা পরে বুঝেছি। Ragging জিনিসটা তিনি বন্ধ করতে পারেন না। তাই নিজে উপস্থিত থেকে, একবারে ওই অধ্যায়টা শেষ করে দিয়েছেন। এর ফলে, পরবর্তীতে আমাকে আর Ragging এর ভেতরে পড়তে হয়নি।



    সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 
ধন্যবাদান্তেঃ--- @Life Blog (Mr Modhu)

Post a Comment

0 Comments